অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার বোয়ালদাড় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেফতাহুল জান্নাতকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ইউনিয়নের কাঁকড়াবালি গ্রামে মারধরের ঘটনা ঘটে। আহত চেয়ারম্যান হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়রা জানান, গ্রাম পুলিশ সুদীপ চন্দ্র দীর্ঘদিন থেকে সাবেক চেয়ারম্যান মেফতাহুলের পৌনে দুই বিঘা জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করেন। কিন্তু তার অজান্তে প্রায় এক বিঘা জমি বেশি চাষ করে আসছিলেন সুদীপ। বিষয়টি জানার পর আমিন দিয়ে জমিগুলো পরিমাপ করা হয়। এতে পৌনে দুবিঘা জমির বদলে পৌনে তিনবিঘা জমি হয়।
জমি পরিমাপের সময় সুদীপের সঙ্গে চেয়ারম্যানের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সুদীপ তাকে কিলঘুসি দেন। ধাক্কা দিয়ে তাকে সরিষা ক্ষেতে ফেলে দেন। স্থানীয়রা চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করে উদ্ধার হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক চেয়ারম্যান মেফতাহুল বলেন, আমি যখন ওই ইউনিয়নের মেম্বার ছিলাম তখন সুদীপকে গ্রাম পুলিশের চাকরি দিয়েছি। যখন চেয়ারম্যান ছিলাম তখন তাকে দফাদার করেছি। এতকিছুর পরও তার হাতেই আমাকে মারধর খেতে হলো। আমি এ বিষয়ে থানায় মৌখিক জানিয়েছি। সুস্থ হয়ে লিখিত অভিযোগ দেবো।
জানতে চাইলে গ্রাম পুলিশ সুদীপ চন্দ্র বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যানকে মারধর করিনি। একটু ধাক্কাধাক্কি হয়েছে, এতেই তিনি সরিষার ক্ষেতে পড়ে আহত হন।’
বোয়ালদাড় ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ছদরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি খুবি দুঃখজনক। ঘটনা শুনে ওই গ্রাম পুলিশকে মৌখিক শাসন করেছি। সাবেক চেয়ারম্যানকে আঘাত করা তার মোটেও ঠিক হয়নি।
এ বিষয়ে হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সায়েম মিয়া বলেন, বিষয়টি আমি এখনো জানি না। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply